নাক থেকে রক্ত পড়ছে হঠাৎ? অস্বাভাবিক কিছু নয়। রক্তচাপ,
মানসিক চাপ, হঠাৎ আঘাত ও আরো নানা কারনে রক্ত পড়তে পারে নাক
দিয়ে। কিন্তু সেটা যদি হয় হঠাৎ করে? অনেক সময় হঠাৎ কোন কারণে নাক
দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে ভয়ে অনেক ভুলভাল চিকিত্সা করে ফেলেন
অনেকেই। কিন্তু সেটা না করে ডাক্তার আসা অব্দি কিছু প্রাথমিক
চিকিত্সার মাধ্যমে ঘরে বসেই নিরাময় করা যায় এই ছোট্ট সমস্যাটির।
আসুন জেনে নিই নাক দিয়ে রক্ত পড়ার ঘরোয়া সমাধান।
১. প্রথমেই সোজা বসুন এবং মাথাকে একদম সোজা করে রাখুন। অন্যথায়
আপনার নাকের রক্ত পেছনে গিয়ে মুখের ভেতরে চলে যেতে পারে।
২. নাকের নরম ও শক্ত- মোট দুটো অংশ রয়েছে। রক্ত সাধারনত এই নরম অংশ
দিয়েই প্রবাহিত হয়। আঙ্গুলের সাহায্যে নাকের নরম অংশটি হালকা করে
চেপে বন্ধ করে রাখুন। মুখ দিয়ে শ্বাস নিন।
৩. বরফের কিছু টুকরো নিন। সেগুলো নাক ও গালের ওপর বারবার বুলাতে
থাকুন। ঠান্ডায় রক্তপ্রবাহ একটু হলেও থেমে যাবে।
৪. দশ মিনিটের মতন নাকের ওপর আঙ্গুল চেপে রাখুন।
৫. সাধারনত ১০ বা ২০ মিনিট চাপে থাকলে নাকের রক্ত প্রবাহ থেমে
যায়। তাই এরপরে পরীক্ষা করে দেখুন তখনো রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে কিনা।
৬. হালকা ধরনের কিছু যেমন- ভেসলিন, আপনার নাকের ভেতরে হালকা
করে লাগিয়ে দিন।
৭. এবার ঘন্টাখানিক শুয়ে বিশ্রাম নিন।
তবে কেবল রক্ত পড়া থামালেই সবটা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়না। আর
তাই পরবর্তীতে যাতে নাক দিয়ে আবার রক্ত না পড়ে সেটার জন্যেও
কিছু করণীয় রয়েছে।
১. নাক দিয়ে রক্ত পড়া থাকার পরের কিছুটা সময় মাথাকে ত্রিশ থেকে
পয়তাল্লিশ ডিগ্রীতে রাখুন।
২. হাঁচি দেবার সময় নাকের বদলে মুখকে বেশি ব্যবহার করুন। বাতাসটা
যেন নাক দিয়ে না বেরিয়ে মুখ থেকে বের হয়। সতর্ক থাকুন আপনার
নাকের ওপর যেন কোনরকম আঘাত না আসে।
৩. ধুমপান ও গরম কোন পানীয় নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঠান্ডা পানিয়
খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. মাথাকে নীচু করা থেকে সতর্ক থাকুন। ভারী কিছু তোলার ক্ষেত্রেও
সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৫. রক্তকে পাতলা করে দেয় এমন ঔষুধ, যেমন- অ্যাসপিরিন, ইবুপ্রোফেন,
ওয়ারফারিন থেকে দূরে থাকুন।
তবে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে কিংবা বেশি সময় ধরে হলে ডাক্তারের
কাছে দ্রুত চলে যান। অনেক সময় রক্তভীতি থাকলে বা দূর্বল হলে জ্ঞান
হারাবার মতন ব্যাপারও ঘটে থাকে রোগীর ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে
দেরী না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করাটাই উচিত।
0 Comments