স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের যদি সময়মতো হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়া হয় তবে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কিন্তু যদি বাড়িতে এমন রোগী থাকে সেক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া টোটকা মনে রাখা উপকারী হতে পারে। যদি ঠিকমতো তা প্রয়োগ করতে পারেন তবে রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকাংশে কমানো যেতে পারে।
এই পদ্ধতি চীনের আকুপাংচার চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী করা হয়ে থাকে। চীনের অধ্যাপকদের মতে, এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে রোগী হয় প্রাণে বেঁচেছেন না হয় চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত সময় পেয়েছেন। দেখে নিন ঘরে কীভাবে এই রোগের মোকাবেলা করা হয়।
যদি মনে হয়, রোগী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বা হতে পারেন তাহলে তৎক্ষণাৎ ইনজেকশনের সুচ বা সাধারণ সেলাই করার সুচ নিয়ে তার সামনের দিকটি আগুনে পুড়িয়ে নিন। এতে সুচ জীবাণুমুক্ত হবে। এরপর সেটি নিয়ে হাতের ১০টি আঙুলের ডগার নরম অংশে সামান্য এমনভাবে ফুটিয় দিন যেন সেখানে রক্তপাত হয়। এর জন্য আলাদা করে কোনো ডাক্তারি জ্ঞান থাকা আবশ্যক নয়। মিনিটখানেক অপেক্ষা করে দেখুন রোগী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন কি না।
যদি এরপরেও দেখেন তার মুখ বেঁকে যাচ্ছে তা হলে তার দুই কানে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এমনভাবে করুন যাতে কান লাল হয়ে যায়। এর অর্থ, কানে রক্ত পৌঁছাচ্ছে। এবার কানের নরম অংশে সুচ দিয়ে সামান্য ক্ষত করুন যাতে দুই কান থেকে দু’এক ফোঁটা রক্ত ক্ষরণ হয়। এর ফলে রোগী সামান্য আরাম পাবেন। একটু স্বাভাবিক হলেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মনে রাখবেন, এই পদ্ধতি শুধু দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়, যাতে রোগীর চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়।